লেখক মুশতাক আহমেদের কারাগারে মৃত্যুর বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক এ বিষয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তের মাধ্যমে লেখক মুশতাকের মৃত্যু রহস্য উন্মোচিত হবে। রোববার সকালে বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) আয়োজিত সেবা সপ্তাহের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সরকারি বাসভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন।
ডিজিটাল বাংলাদেশের জন্য একদিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা যেমন জরুরি, তেমনি এ আইনের অপপ্রয়োগ যাতে না হয় সে বিষয়ে সরকার সচেষ্ট , সরকার মত প্রকাশের স্বাধীনতায় বিশ্বাসী, স্বাধীনতা মানে এই নয় যে যার মতো যা খুশি বলার নিরঙ্কুশ বা একচেটিয়া অধিকার থাকবে।
কোনো ব্যক্তি বা সংস্থা যাতে এ আইনের অপব্যবহার করতে না পারে সেদিকে থাকা জরুরি বলেও মনে করেন ওবায়দুল কাদের।
মুশতাকের দুঃখজনক মৃত্যুর ঘটনাটি তদন্তাধীন, তাই তদন্তাধীন ইস্যুতে একটি কুচক্রী মহল ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের অপচেষ্টা করছে বলে জানান কাদের। এ অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
এসময় তিনি বলেন, ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদানের কাজ পুরোদমে শুরু হয়েছে আজ থেকে। অবসান হতে যাচ্ছে দীর্ঘ অপেক্ষার।
আগামী কয়েকদিনের মধ্যে বিভাগীয় পর্যায়েও লাইসেন্স প্রদানের কাজ শুরু করা হবে জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, লাইসেন্স সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানকে এ বিষয়ে সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিতে হবে।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী যানবাহনে ফিটনেস গ্রহণের বিষয়ের উপর গুরুত্ব দিয়ে বলেন, এক্ষেত্রে সরকার সেবা সহজীকরণে এবং গ্রাহকদের সুবিধার্থে দেশের যে কোনো সার্কেল অফিস থেকে যানবাহনের ফিটনেস সনদ গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে।
বিআরটিএকে একটি সঠিক সেবামুখী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার জন্য সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, এই প্রতিষ্ঠানের সেবা পেতে এখনও গ্রাহক ভোগান্তি আছে, তবে এ ভোগান্তি প্রযুক্তির ব্যবহারের কারণে কমে আসছে।
বিআরটিএতে দালালের দৌরাত্ম্য এখনও আছে উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীর সঙ্গে তাদের যোগাযোগ রয়েছে। তাদের সখ্যতায় গড়ে উঠেছে এ চক্র।সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিভাগীয় কমিশনারদের নির্দেশনা দিয়ে বলেন, পরিবহন বিষয়ক যে কোনো অনিয়মের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসকের নির্দেশনা নিয়ে কাজ করতে হবে এবং অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে হবে।